এলপিজি’র দাম বেশি নেওয়ায় ২ কোম্পানিকে শো-কজ

ভোক্তাকণ্ঠ রিপোর্ট: সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে এলপি গ্যাস বিক্রি করার দায়ে ইউনাইটেড এলপিজি লিমিটেড ও টোটাল গ্যাসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

গত ১১ জুলাই তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

১২ কেজির সিলিন্ডার ডিলার পর্যায়ে ৯২৪ টাকা দরে বিক্রি করার নির্দেশনা থাকলেও ইউনাইটেড এলপিজি এক হাজার ৭৪ টাকা, টোটাল গ্যাস এক হাজার ১৯ টাকা দরে বিক্রি করেছে।

বিইআরসি’র চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ‘টোটাল এলপিজি চাঁদপুরে তাদের একজন ডিস্ট্রিবিউটরের কাছে ১২ কেজির সিলিন্ডার এক হাজার ১৯ টাকা দরে বিক্রি করেছে। সে তথ্য চাঁদপুরের একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। সে বিষয়ে টোটাল গ্যাসকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, মানিকগঞ্জে বাজার মনিটরিংয়ে গিয়েছিলাম আমি নিজে। ইউনাইটেড এলপিজি লিমিটেডের ডিস্ট্রিবিউটর মিলেনিয়াম ট্রেডার্সের সঙ্গে কথা হলে তারা বেশি দামে কেনার চালানপত্র দেখায়। ১২ কেজির সিলিন্ডার এক হাজার ৭৪ টাকা কিনেছে মিলেনিয়াম ট্রেডার্স। ইউনাইটেড এলপিজির ০৫ জুলাই ইস্যু করা চালানপত্রে বিক্রয় মূল্য এক হাজার ৭৪ টাকা দেখা গেছে। বিইআরসি নির্ধারিত দর অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৯২৪ টাকা নেওয়ার কথা। সে কারণে তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

বিইআরসি কর্তৃক ১১ জুলাই ইস্যু করা কারণ দর্শানোর নোটিশ ইউনাইটেড এলপিজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মিলেনিয়াম ট্রেডার্সকে যে চালানপত্র দেওয়া হয়েছে। তাতে কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত দরের চেয়ে ১৫০ টাকা বেশি নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার ব্যাখ্যা কমিশনে প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো।

এলপি গ্যাসে বিইআরসি ঘোষিত জুলাই মাসের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯৯৯ টাকার মধ্যে ডিলারের কমিশন ৩৪ টাকা এবং খুচরা বিক্রেতার ৩৮ টাকা রয়েছে। সে হিসাবে ডিস্ট্রিবিউটর পর্যায়ে ৯২৪ টাকা দরে বিক্রি করার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না।

-এসএম